ঢাকা , সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ভারতে নিষিদ্ধ ১৬ পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল, বিবিসিকে সতর্কবার্তা ইউক্রেন যুদ্ধে সৈন্য পাঠানোর কথা নিশ্চিত করলো উত্তর কোরিয়া বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার ২৬টি রাফালে এম যুদ্ধবিমান কিনতে ফ্রান্স-ভারত চুক্তি ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় নিহত ৭৮ পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহত ২৩ ১৩০টি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের দিকে তাক করা আছে : পাকিস্তানের মন্ত্রী রাশিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে শতাধিক ড্রোন হামলা করছে ইউক্রেন: মস্কো স্পিরিট অ্যারো সিস্টেমসের সম্পদ কেনার চূড়ান্ত চুক্তি করলো এয়ারবাস ওষুধ রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ছাড় চায় সিঙ্গাপুর অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ হারলো মায়ামি এফএ কাপের ফাইনালের টিকেট পেলো ম্যানসিটি টটেনহ্যামকে হারিয়ে শিরোপা জিতল লিভারপুল প্রথম ম্যাচে জর্ডানের মুখোমুখি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করলো আরসিবি বাংলাদেশের সামনে খড়কুটার মতো উড়ে গেলো শ্রীলঙ্কা তাইজুলকে প্রশংসায় ভাসালেন তামিম সাগরিকায় শেষ বিকেলে তাইজুলের দাপট কলাপাড়ায় চোরকে পুলিশে দিয়ে বিপাকে গ্রামবাসী ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলো বাংলাদেশি ৭ যুবক

রাজনৈতিক ঐকমত্যে রাষ্ট্রপতির অপসারণ

  • আপলোড সময় : ২৮-১০-২০২৪ ১২:১১:৪১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-১০-২০২৪ ১২:১১:৪১ পূর্বাহ্ন
রাজনৈতিক ঐকমত্যে রাষ্ট্রপতির অপসারণ

বাংলাদেশের কোনো অপশক্তিই রাষ্ট্রপতিকে তার পদে বসিয়ে রাখতে পারবে না বলে জানিয়েছেন সারজিস


রাষ্ট্রপতি সাহাবউদ্দিনকে অপসারণ নিয়ে আপাতত কোনো তাড়াহুড়ো করবে না অন্তর্বর্তী সরকার। রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানোর পরই রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। সরকারের বক্তব্য হলো, রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা যত তাড়াতাড়ি হবে তত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত আসবে। এ ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ কয়েকটি সংগঠন বিক্ষোভ দেখিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে তারা একাধিকবার আলোচনায় বসেছে। তাদের  একটি দল একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি দ্রুতই সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনে ওই ফ্যাসিস্টদের যে একজন দোসর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ওই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে আছেন, তাকে অপসারণের মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশের মানুষের সম্মতিতে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতিতে এমন একজন ব্যক্তিত্বপূর্ণ মানুষকে আমরা সেখানে বসাব, যিনি ২৪-এর স্পিরিট ধারণ করে বাংলাদেশকে আমরা যে জায়গায় প্রত্যাশা করি, সে জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবেন। সর্বশেষ গতকাল রোববার গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এর আগে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে গত শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সঙ্গে বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করার জন্য বিএনপির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির অপসারণ, দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা দলীয় ফোরামে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ নিয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন একমত পোষণ করেছে।
অপরদিকে রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে সরকারকে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের বিপ্লবকে সংগত করতে হলে কোনোরকম হটকারি সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর শেরে-বাংলানগর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন। রাষ্ট্রপতি অপসারণে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আপনাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এ বিষয়ে বিএনপি অবস্থান কি জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির যে সর্বোচ্চ ফোরাম রয়েছে সেই ফোরামে আলোচনা হবে আলোচনা শেষে আমাদের অবস্থান পরিস্কার করবো। তিনি আরো বলেন, আমরা এর আগেও বলেছিলাম গণ অভ্যুত্থানের ফসলকে ঘরে তোলার জন্য বাংলাদেশের বিপ্লবকে সংগত করতে হয় তাহলে জাতীয় ঐক্য ও কোনরকম হটকারি সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না, সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। তার জন্য বেশি প্রয়োজন অতিদ্রুত নির্বাচন কেন্দ্রিক সংস্কার শেষে নির্বাচন করা প্রয়োজন। তবে এ বিষয়ে গতকাল রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আন্দোলনকারীরা এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করছে। সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে, রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠন করা। তারপরে সিদ্ধান্ত। বিলম্ব হবে না আবার তাড়াহুড়ো করাও হবে না। রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে কোনো টাইম ফ্রেম নাই। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ ইস্যুতে রাজনৈতিক ঐক্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ নিয়ে যা বললেন সারজিস: রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে বাংলাদেশের কোনো অপশক্তিই রাষ্ট্রপতিকে তার পদে বসিয়ে রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। গত শনিবার রংপুরে এক মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন তিনি। সারজিস আলম বলেন, রাষ্ট্রপতি যে কথাটা (শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই) বলেছেন, বাংলাদেশের জনমানুষ যারা এই অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, তারা কোনো দিন তা শুনতে চায় না। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে মন্তব্য করে এ সমন্বয়ক বলেন, আমরা মনে করি ফ্যাসিস্টের কোনো দোসরের এই বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় দায়িত্ব পালনের অধিকার নেই। তিনি (রাষ্ট্রপতি) ওই কথার মাধ্যমে তার সকল অধিকার আগেও হারিয়েছিলেন, এখন তিনি আবার তা প্রমাণ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা বলেছি যে, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব। রাজনৈতিক দলগুলো যদি একমত হয়, তাহলে বাংলাদেশের কোনো অপশক্তি তাকে (রাষ্ট্রপতি) ওই জায়গায় বসিয়ে রাখতে পারবে না। সারজিস বলেন, দুদিন ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে আমরা একাধিকবার আলোচনায় বসেছি। আজও আমাদের একটি দল একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি দ্রুতই সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনে ওই ফ্যাসিস্টদের যে একজন দোসর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ওই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে আছেন, তাকে অপসারণের মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশের মানুষের সম্মতিতে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতিতে এমন একজন ব্যক্তিত্বপূর্ণ মানুষকে আমরা সেখানে বসাব, যিনি ২৪-এর স্পিরিট ধারণ করে বাংলাদেশকে আমরা যে জায়গায় প্রত্যাশা করি, সে জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবেন। সর্বশেষ গতকাল রোববার গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এর আগে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে গত শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সঙ্গে বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করার জন্য বিএনপির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির অপসারণ, দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা দলীয় ফোরামে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ নিয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন একমত পোষণ করেছে। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সবাই রাষ্ট্রপতির অপসারণ চায়।
এছাড়াও রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ বা পদত্যাগের পক্ষে ইতিমধ্যেই অবস্থান প্রকাশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গত শনিবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেও দলটি আগের অবস্থানই প্রকাশ করেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, পতিত প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নিয়ে রাষ্ট্রপতি ‘মিথ্যাচার’ করে তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। সুতরাং তিনি এ পদে থাকতে পারেন না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিককে সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই। এরপর থেকেই রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ